Skip to main content

BCS preparation with explained data 01

‌‌ভূ-প্রকৃতি অনুসারে বাংলাদেশকে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়:

১. টারশিয়ারি যুগের পাহাড়:

 * অবস্থান: দক্ষিণ-পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত।

 * বৈশিষ্ট্য:

   * উচ্চতা কম (সর্বোচ্চ উচ্চতা ১২৩৭ মিটার)।

   * খনিজ সম্পদের ভাণ্ডার।

   * ঘন বন ও চিরসবুজ বন।

২. প্লাইস্টোসিন কালের সোপান:

 * অবস্থান: উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্য-পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত।

 * বৈশিষ্ট্য:

   * সমতল ভূমি থেকে কিছুটা উঁচু।

   * উর্বর মাটি।

   * কৃষিক্ষেত্র।

৩. সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি:

 * অবস্থান: দেশের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে অবস্থিত।

 * বৈশিষ্ট্য:

   * নীচু ও সমতল ভূমি।

   * নদী দ্বারা পলি জমা।

   * ঝাউ, কাঁশ, খেজুর গাছের প্রাধান্য।

এই তিনটি ভাগ ছাড়াও, বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতিতে আরও কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেমন:

 * উপকূলীয় অঞ্চল: সমুদ্রের ধারে অবস্থিত।

 * দ্বীপপুঞ্জ: সুন্দরবন, সাত নদীর দ্বীপপুঞ্জ ইত্যাদি।

 * খাঁড়ি: মেঘনা, পদ্মা, যমুনা ইত্যাদি নদীর খাঁড়ি।





বাংলাদেশের জিকে প্রকল্প হলো একটি সেচ প্রকল্প।
এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো:
 * কৃষিক্ষেত্রে সেচ সরবরাহ বৃদ্ধি
 * খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি
 * কৃষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন
প্রকল্পের বিস্তার:
 * অবস্থান: বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল
 * জেলা: কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা
 * মোট সেচযোগ্য এলাকা: ১,৪২,০০০ হেক্টর
প্রকল্পের പ്രവർത്തন:
 * নদী থেকে পাম্পের সাহায্যে পানি তোলা
 * সংযোগ খাল ও নালার মাধ্যমে কৃষি জমিতে পানি সরবরাহ
প্রকল্পের সুফল:
 * ধান, আখ, পাট, তুলা ইত্যাদির উৎপাদন বৃদ্ধি
 * কৃষকদের আয় বৃদ্ধি
 * গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন
প্রকল্পের চ্যালেঞ্জ:
 * বিদ্যুৎ সরবরাহের অভাব
 * পানির অপচয়
 * খাল ও নালার দূষণ
উল্লেখ্য যে, জিকে প্রকল্প বাংলাদেশের কৃষি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।



টেকনাফ নাফ নদীর তীরে অবস্থিত।
এটি কক্সবাজার জেলার একটি উপজেলা এবং বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত।
নাফ নদী মিয়ানমারকে বাংলাদেশ থেকে আলাদা করে।



বেঙ্গল ফ্যান ভূমিরূপ
অবস্থান:
 * বঙ্গোপসাগরের উত্তরাংশে অবস্থিত।
 * বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার উপকূলের কাছে।
বৈশিষ্ট্য:
 * বিশ্বের বৃহত্তম সাবমেরিন ফ্যান।
 * ৪.৮ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত।
 * গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা সহ অনেক নদীর পলি দ্বারা গঠিত।
 * সমুদ্রতলের 3,000 মিটার গভীরতা পর্যন্ত বিস্তৃত।
 * বঙ্গোপসাগরের তলদেশে জালের মতো বেষ্টনী তৈরি করে।
গুরুত্ব:
 * বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ভূমি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
 * তেল ও গ্যাসের সম্ভাব্য উৎস।
 * সমুদ্রজীববৈচিত্র্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।


Popular posts from this blog